সরকার গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে যশোর জেলায় মোট ২৮৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেছে। এসব ক্লিনিক থেকে প্রতি বছর প্রায় ৩০ লাখ মানুষ বিনা খরচে চিকিৎসা পরামর্শ ও সাধারণ ওষুধ পেয়ে থাকেন। তবে চলতি বছরের শুরু থেকে ওষুধের ঘাটতি দেখা দেওয়ায় রোগীরা চিকিৎসার মৌলিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
ক্লিনিকে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেকে। ভ্যানচালক মিজানুর রহমান বলেন, কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগলেও কোনো ওষুধ পাননি। কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, আগে বিনামূল্যে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ মিললেও এখন বাজার থেকে কিনতে হচ্ছে। গৃহিণী মিতা বিশ্বাসও অভিযোগ করেন, ত্বকের সমস্যা নিয়ে ক্লিনিকে গিয়ে চিকিৎসা না পেয়ে হতাশ হয়েছেন।
কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা জানিয়েছেন, প্রতিদিন গড়ে ৭০–৮০ জন রোগী আসলেও ওষুধ না থাকায় তাদের খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। যশোর সদরের একাধিক সিএইচসিপি জানান, গত এপ্রিল মাসে সামান্য ওষুধের চালান আসার পর থেকে আর কোনো সরবরাহ নেই। ফলে জ্বর, গ্যাস্ট্রিক, শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিস ও রক্তচাপের মতো সাধারণ রোগের চিকিৎসায় শুধু মৌখিক পরামর্শ দিয়েই রোগীদের বিদায় জানাতে হচ্ছে। এতে রোগীর সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে।
যশোর সিভিল সার্জন মাসুদ রানা জানান, আট মাস ধরে ওষুধের ঘাটতি চলছে। প্রতি মাসে চাহিদা পাঠানো হলেও প্রাপ্তির পরিমাণ এক-তৃতীয়াংশের বেশি নয়। এতে বিশেষ করে প্রান্তিক ও দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে। তবে ঔষধ প্রশাসন দ্রুত সরবরাহ স্বাভাবিক করার আশ্বাস দিয়েছে বলে তিনি জানান।