ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমিরাতের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক লানা নুসাইবেহ সতর্ক করেছেন, পশ্চিম তীর দখল ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনাকে শেষ করে দেবে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ আমিরাতের এ অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে এ বিষয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার কোনো মন্তব্য করেনি।
এই সতর্কবার্তা আসে ইসরায়েলের ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ পশ্চিম তীরের বড় অংশ দখলের প্রস্তাব দেওয়ার পর। তার প্রস্তাব অনুযায়ী, পশ্চিম তীরের প্রায় ৮২ শতাংশ এলাকা ইসরায়েলি সার্বভৌমত্বের আওতায় আনা হবে এবং বাকি ১৮ শতাংশ ছয়টি ফিলিস্তিনি শহরের আশপাশের ছোট ছোট এলাকায় সীমাবদ্ধ থাকবে।
বিবিসি জানায়, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর ইসরায়েল পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে প্রায় ১৬০টি বসতি গড়ে তুলেছে, যেখানে বসবাস করছে সাত লাখেরও বেশি ইহুদি। একই এলাকায় রয়েছে আনুমানিক ৩৩ লাখ ফিলিস্তিনি। আন্তর্জাতিক আইনে এসব বসতি অবৈধ।
২০২০ সালে আব্রাহাম চুক্তি সইয়ের সময় শর্ত ছিল—ইসরায়েল পশ্চিম তীর দখলের পরিকল্পনা স্থগিত রাখবে। সে সময় নেতানিয়াহু ‘স্থগিত’ রাখার প্রতিশ্রুতি দিলেও জানিয়েছিলেন, পরিকল্পনাটি এখনো ‘টেবিলে’ আছে। বর্তমান সরকারের বেশিরভাগ মন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে দখলের পক্ষে। নেতানিয়াহু সম্প্রতি বলেন, “৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়া মানে হবে সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করা।”
আমিরাতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পশ্চিম তীর দখলের যেকোনো উদ্যোগ আঞ্চলিক একীকরণ প্রক্রিয়া থামিয়ে দেবে এবং দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের প্রতি আন্তর্জাতিক ঐকমত্য ভেঙে দেবে।