রোববার (৩১ আগস্ট) টাইমস অব ইসরাইলের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, বহু বছর ধরে হামাসের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আবু উবাইদাকে “নরকের তলানিতে পাঠানো হয়েছে, যেখানে ইরান, গাজা, লেবানন ও ইয়েমেনের ধ্বংসপ্রাপ্ত অক্ষশক্তির সদস্যরা রয়েছে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, গাজায় অভিযান যত এগোবে, আরও হামাস নেতারা একই পরিণতি বরণ করবে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছিলেন, আবু উবাইদাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে, তবে তিনি বেঁচে আছেন কিনা তা তখনও নিশ্চিত ছিল না।
অন্যদিকে হামাস এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, এটি ইসরাইলের ‘মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের অংশ’। সংগঠনটি ফিলিস্তিনিদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, গুজব ছড়িয়ে জনগণের আস্থা ও ঐক্য দুর্বল করার চেষ্টা চলছে। যদিও সম্ভাব্য সকল সোর্সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে, তবু আল-কাসসাম ব্রিগেড থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণ আসেনি।
আসল নাম হুদায়ফা সামির আব্দুল্লাহ আল-খালুত—এই ছদ্মনামের আবু উবাইদা ২০০৪ সাল থেকে আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ২০০৬ সালে ইসরাইলি সেনা গিলাদ শালিতকে অপহরণের ঘোষণা দিয়ে তিনি আলোচনায় আসেন এবং গাজা ও আরব বিশ্বে প্রতীকী মুখপাত্রে পরিণত হন। সবসময় মুখোশধারী এই নেতা তার প্রকৃত পরিচয় ও অবস্থান গোপন রেখেছিলেন।
শনিবার রাতে গাজা সিটির আল-রিমাল এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্টে বিমান হামলা চালানো হয়। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, হামলায় আবু উবাইদাসহ আরও কয়েকজন শাহাদাত বরণ করেন। সৌদি আরবের আল-আরাবিয়া টিভি এক ফিলিস্তিনি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, পরিবারের সদস্য ও হামাস কর্মকর্তারা লাশ শনাক্ত করেছেন।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, বেসামরিক হতাহতের ঝুঁকি কমাতে তারা নির্দিষ্ট টার্গেটের ওপর নজরদারি ও নির্ভুল অস্ত্র ব্যবহার করেছে। আবু উবাইদার সর্বশেষ বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছিল শুক্রবার রাতে, যেখানে তিনি ইসরাইলের সম্ভাব্য স্থল আক্রমণ হলে জিম্মিদেরও ঝুঁকির মুখে পড়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।