রোববার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি আয়োজিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান: বিচার বিভাগের সংস্কার’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করা, কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বাড়ানো এবং বিচারক ও কর্মকর্তাদের মধ্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখা জরুরি।
তিনি জানান, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আরও সুদৃঢ় করতে সুপ্রিম কোর্টের জন্য আলাদা সচিবালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব সরকারের কাছে রয়েছে। এটি কার্যকর হলে সাংবিধানিকভাবে বিচার বিভাগের ক্ষমতার পৃথকীকরণ আরও স্পষ্ট হবে।
বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার বিষয়েও প্রধান বিচারপতি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের মাধ্যমে কলেজিয়ামভিত্তিক নিয়োগ ব্যবস্থা চালু হয়েছে, যা ন্যায্যতা নিশ্চিত করছে। এই পদ্ধতি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ল্যাটিমার হাউস নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং এর ফলে বিচার বিভাগের ওপর জনআস্থা পুনরুদ্ধার হয়েছে।
এ ছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যের বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত গঠনের পরিকল্পনার কথাও জানান প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, প্রশিক্ষিত বিচারক, ডিজিটাল ফাইলিং এবং দ্রুত নিষ্পত্তির মাধ্যমে এ আদালত ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াবে। ইতিমধ্যেই খসড়া প্রস্তুত হয়েছে এবং অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, উদ্যোগটি বাস্তবায়িত হলে দেশের ব্যবসা পরিবেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী এবং বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সভার সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।