রোববার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে নির্বাচন কমিশনের আয়োজিত সভায় বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও মনোনয়ন উত্তোলনকারীরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ হবে এবং প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি পরে চূড়ান্ত করা হবে।
ওয়াক আউট করা শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী সাংবাদিকদের বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন পাকিস্তানপন্থি ও আমাদের ভাইদের ওপর হামলার অভিযুক্ত নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় ডেকেছে। আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারি না। তাই সংহতি দেখিয়ে আমরা ওয়াক আউট করেছি।”
শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার আলিফ উল্লেখ করেন, “আজকের সভায় আমাদের ওপর হামলা করা নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় ডাকা হয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে হাউজ শেয়ার করতে পারি না। আমরা তাদের বিচারের দাবি করেছি।”
ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আল শাহরিয়া শুভ বলেন, “সভায় কয়েকটি সংগঠনকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে, আমাদের কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সঙ্গে সংহতি দেখিয়ে আমরা ওয়াক আউট করেছি।”
কিছু ছাত্র সংগঠন ওয়াক আউটের পর আলোচনা চালিয়ে যায় নির্বাচন কমিশনাররা। সাবেক সমন্বয়ক ফাহিম রেজা বলেন, “নির্বাচনের তারিখ দুইবার পরিবর্তন হয়েছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এতে যুক্ত যাকেই হোক, সমস্যা নেই।”
সাবেক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার জানান, “আজকের সভায় যারা ভোটাধিকার চেয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকের ভোটাধিকার নেই। নির্বাচন কমিশন বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি।”
সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার মোস্তফা কামাল আকন্দ সাংবাদিকদের বলেন, “আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হবে। ছাত্ররা তাদের মতো ভোট দেবেন। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে পরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।”
উল্লেখ্য, ২৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ মার্কেট ও প্যারিস রোডে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতাদের ওপর শাখা ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ ওঠে। তিন দফায় এই হামলার ঘটনায় উত্তেজনা বেড়ে যায় এবং আজকের ওয়াক আউটের পেছনের প্রেক্ষাপট হিসেবে এর উল্লেখ করা হচ্ছে।