রোববার (৩১ আগস্ট) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রায় ৫০ মিনিটের এই বৈঠকে সীমান্ত পরিস্থিতি, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং জনগণের পারস্পরিক যোগাযোগ জোরদার করার বিষয়গুলো গুরুত্ব পেয়েছে। শুল্ক ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অচলাবস্থার মধ্যেও দুই দেশ নিজেদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণের ওপর জোর দেয়।
বৈঠক শেষে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী মোদি সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে জোরালো অবস্থান তুলে ধরেছেন। তার বক্তব্যে স্পষ্ট ছিল, সন্ত্রাসবাদ এমন একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ যার শিকার ভারত ও চীন দু’দেশই। এ প্রসঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী উদ্যোগে সমর্থন জানান।
মোদি বৈঠকে বলেন, সীমান্তে উত্তেজনা কমে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে, যা সম্পর্ক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। তিনি দুই দেশের সম্পর্ককে পারস্পরিক বিশ্বাস, সম্মান ও সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
এদিকে, সোমবার এসসিও সম্মেলনের ফাঁকেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা ও অপারেশন সিন্দুরের পর প্রতিবেশী এই দুই নেতার মধ্যে এটি হবে প্রথম বৈঠক।