রোববার বিকেলে চবির মেডিকেল সেন্টারের গ্রাউন্ড ফ্লোরে কান্নারত অবস্থায় তিনি বলেন, “আমাদের শিক্ষক ও ছাত্রদের তারা মেরেছে। আমরা মেডিকেলে জায়গা দিতে পারছি না। চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঁচ শতাধিক আহত শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে।” তিনি আরও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা সিওসি, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। দুই ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে, এখনো কেউ আসেনি।”
সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় শনিবার রাতে, যখন স্থানীয় একটি বাসার দারোয়ান এক ছাত্রীকে মারধর করে। এরপর শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুখোশ ও হেলমেট পরা হামলাকারীরা রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে শিক্ষার্থীদের। এমনকি বাসা ও মেসে ঢুকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, আহত এক শিক্ষার্থীকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
সংঘর্ষে চবির উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) শামীম উদ্দিন খান এবং প্রক্টর তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসন দুপুর ২টা থেকে সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে। তবে নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেরি করায় শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। বিকেল ৪টার দিকে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি আসলেও শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ জানায়।