বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পশুপালন ও ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীরা কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে রোববার সকাল থেকে আন্দোলন শুরু করে। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক ঘেরাও করে তারা উপাচার্যসহ দুই শতাধিক শিক্ষককে প্রায় ছয় ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। শিক্ষার্থীরা মিলনায়তনের দরজায় তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন চালিয়ে গেলে বিকেলে জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ক্যাম্পাসে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।
রাত আটটার দিকে পরিস্থিতি হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ অনুযায়ী, একদল বহিরাগত লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী এবং এক সাংবাদিক আহত হন। এসময় মিলনায়তনের আশপাশে ককটেল বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যায়। সংঘর্ষের পর শিক্ষকরা অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসেন। হামলার সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দৃশ্যমান উপস্থিতি না থাকায় শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে লাইব্রেরি ভবনে আশ্রয় নেন।
ঘটনার পর ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনে ভাঙচুর চালায়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে ক্যাম্পাসে বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসন চেষ্টা চালাচ্ছে। হামলার পেছনের কারণ ও হামলাকারীদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।
আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, ভেটেরিনারি ও পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীদের জন্য একক কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু করা। একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে পৃথক ডিগ্রি বহাল রাখার সিদ্ধান্তের পর শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে।