ঘটনাটি ঘটেছিল একেবারে সংকটময় মুহূর্তে। হাইকোর্ট যখন ডাকসু নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেয়, তখন মাত্র হাতে কিছু সময় ছিল। ঠিক সেই সময়েই শিশির মনির হাতে লেখা পিটিশন নিয়ে ছুটে যান চেম্বার জজ কোর্টে এবং যুক্তি তুলে ধরেন কেন নির্বাচন হওয়া জরুরি। আদালত তাঁর যুক্তি বিবেচনায় নিয়ে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেয়।
ফলে ষড়যন্ত্রের জালে আটকে পড়া নির্বাচন আবারও বাঁচল। অন্যথায়, স্থগিতাদেশ বহাল থাকলে ১৫ দিনের জন্য আদালত কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেত, আর হাতে থাকত মাত্র ৮ দিন—অর্থাৎ নির্বাচন আয়োজন কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ত।
বিশ্লেষকরা বলছেন, শিশির মনিরের তাৎক্ষণিক ও বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত না হলে ডাকসু নির্বাচন সময়মতো করা যেত না। যদিও রাজনৈতিক মহলে তাঁর বিরুদ্ধে কিছু সমালোচনা উঠেছে, তবে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, যাদের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়েছে, তারাই এই সফল উদ্যোগে ক্ষুব্ধ।
সবশেষে যা স্পষ্ট—ডাকসু নির্বাচন সময়মতো হচ্ছে, আর এর কৃতিত্বের বড় অংশটাই আইনজীবী শিশির মনিরের হাতে।