দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান অচলাবস্থা দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারীয় শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। তিনি জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ঘটছে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যা শিক্ষা কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে; তবে সরকার ও সংশ্লিষ্ট পক্ষের চলমান আলোচনা ও সমাধান প্রক্রিয়া দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। মন্ত্রণালয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করছে এবং সকলের ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা বজায় রাখতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা ও সংঘর্ষের ঘটনা বিশেষত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় তর্ক-বিতর্ক থেকে ব্যাপক সংঘর্ষে রূপ নেওয়ায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন এবং এতে স্থানীয় গ্রামবাসীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিরাপত্তার স্বার্থে ১৪৪ ধারা জারি রাখা হয়েছে এবং পরিস্থিতির স্থিতিশীলতার জন্য প্রশাসন ও ছাত্র সংগঠন থেকে সুষ্ঠু সমাধানের দাবিও উঠেছে। পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ-অবরোধ ও দাবির বিষয়েও উত্তেজনা বিরাজ করছে। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রিগুলো একীভূত করার দাবিতে শিক্ষার্থীরা আটকিয়ে রেখেছিলেন ক্যাম্পাস সদস্যদের এবং আন্দোলনের ফলে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় প্রশাসন একযোগে কাজ করে সমস্যা সমাধানে তৎপর রয়েছে। উপদেষ্টা ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে সংসর্গ এবং সংলাপের মাধ্যমে দ্রুত একটি সর্বজনগ্রাহ্য সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হবে যা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার স্বাভাবিকতায় সহায়ক হবে। তিনি শিক্ষার্থীদেরও সহিষ্ণু ও ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান, যেন পরিস্থিতি দ্রুত শিথিল হয় এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি পুনরায় স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় সক্ষম হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গত কয়েক মাসে নানা কারণ দিয়ে অচলাবস্থা ও অস্থিরতা বেড়েছে। প্রশাসনিক দুর্বলতা, রাজনৈতিক প্রভাব, নাম পরিবর্তন দাবিসহ বিভিন্ন চলমান সমস্যা শিক্ষাক্ষেত্রে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে। শিক্ষার্থী লড়াই ও আন্দোলন ঘিরে ঘটে যায় সহিংসতা এবং ওইসব ঘটনার প্রভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সরকার এ পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন করছে এবং শিক্ষাক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও প্রযুক্তির উন্নয়নসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তাও উঠে এসেছে।