সরকার দেশের সাতটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বৃত্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এই বৃত্তি প্রদান করা হবে। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানায়।
নির্দেশনা অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বৃত্তির গেজেট প্রকাশ করতে হবে। প্রকাশিত গেজেটের সফটকপি নির্ধারিত ই-মেইলে পাঠানো এবং হার্ডকপি মাউশির মহাপরিচালকের কাছে জমা দিতে হবে।
অফিস আদেশে বলা হয়, রাজস্ব খাতভুক্ত বৃত্তির সংখ্যা ও অর্থের পরিমাণ পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মেধাবৃত্তি ও সাধারণ বৃত্তির আলাদা কোটা ঠিক করা হয়েছে।
মেধাবৃত্তির আওতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৫, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৬, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩ জন শিক্ষার্থী নির্বাচিত হবেন। সব মিলিয়ে মেধাবৃত্তি পাবেন ১৩২ জন শিক্ষার্থী।
অন্যদিকে সাধারণ বৃত্তির আওতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১,৮৭৫, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮৪, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬২, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮১, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪১, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪১ এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪১ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পাবেন। মোট সাধারণ বৃত্তির সংখ্যা ৪,১২৫টি।
প্রতিটি মেধাবৃত্তির শিক্ষার্থী মাসে ১,১২৫ টাকা এবং এককালীন ১,৮০০ টাকা অনুদান পাবেন। সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী মাসে ৪৫০ টাকা এবং এককালীন ৯০০ টাকা অনুদান পাবেন। উভয় ধরনের বৃত্তির মেয়াদ এক বছর।
শর্ত অনুযায়ী, মেধার ভিত্তিতে তালিকা প্রস্তুত করতে হবে এবং বৃত্তি ৫০ শতাংশ ছাত্র ও ৫০ শতাংশ ছাত্রীকে দিতে হবে। যোগ্য ছাত্রী না পাওয়া গেলে তা ছাত্রদের মধ্যে বণ্টন করা হবে। বৃত্তি পেতে শিক্ষার্থীকে উচ্চতর শ্রেণিতে ভর্তি হতে হবে এবং তার নামে অনলাইন ব্যাংক হিসাব থাকতে হবে। একই সঙ্গে এমআইএস সফটওয়্যারে তথ্য এন্ট্রির সময় নিশ্চিত করতে হবে যে শিক্ষার্থী নিয়মিত অধ্যয়নরত।
মাউশি জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গেজেট প্রকাশ করে ই-মেইল ও হার্ডকপির মাধ্যমে পাঠাতে হবে।