ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী, গত ২৫ আগস্ট সন্ধ্যায় বাসার সামনে থেকে মুখে রুমাল চেপে কিশোরীকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় জয় কুরি ও তার সহযোগীরা। অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে টানা সাত দিন তাকে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণ করা হয়। পরে ৩০ আগস্ট সন্ধ্যায় রায়পুর শহরের মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে অসুস্থ অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায় তারা। স্থানীয় এক পথচারী কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসকের পরামর্শে পরিবারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, শহরের পুর্বলাচ গ্রামের কামাল ভুইয়া সড়কের স্বর্ণ ব্যবসায়ী অনন্ত কুরির ছেলে জয় কুরি এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত। অভিযুক্তের খোঁজে তার বাড়িতে গেলে পরিবারের সদস্যদের খারাপ আচরণের অভিযোগও করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
রায়পুর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশি তৎপরতায় ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষা ও জবানবন্দি সম্পন্ন হয়েছে। অভিযুক্ত জয় কুরিকে গ্রেপ্তারের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে এবং অচিরেই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
তিনি আরও জানান, কিছু মহল এ ঘটনাকে পুঁজি করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করছে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। অভিযুক্তের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য পেলে গ্রেপ্তারে সহায়তা করা যাবে।
এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে ক্ষোভ ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।