সুন্দরবনে মাছ ধরার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর প্রথম দিনেই বাগেরহাট জেলার এক হাজারের বেশি জেলে বনে প্রবেশ করেছেন। সোমবার ভোরে শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের বিভিন্ন স্টেশন থেকে অনুমতিপত্র (পাসপারমিট) সংগ্রহ করে তারা মাছ ধরতে রওনা দেন।
বন বিভাগের সূত্রে জানা গেছে, জেলেদের স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে—কোনোভাবেই অভয়ারণ্যে প্রবেশ করা যাবে না, বিষাক্ত দ্রব্য ব্যবহার করা যাবে না, বর্জ্য ফেলা বা বনজ সম্পদের ক্ষতি করা যাবে না। পাশাপাশি দস্যুদের আক্রমণ বা সন্দেহজনক কোনো পরিস্থিতি দেখা দিলে দ্রুত স্টেশন ও টহল ফাঁড়িকে জানাতে যোগাযোগ নম্বর সরবরাহ করা হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্মার্ট প্যাট্রলিং টিম এবং বনরক্ষীরা নিয়মিত টহল দিচ্ছেন।
শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা মো. খলিলুর রহমান জানান, প্রথম দিনেই প্রায় ২৫০টি নৌকায় প্রায় ৬০০ জেলে সুন্দরবনে প্রবেশ করেছেন। তবে অনেক জেলে এখনো নৌকা ও জাল প্রস্তুত করতে পারেননি, তারা কয়েক দিনের মধ্যে মাছ ধরতে বনে যাবেন।
পূর্ব সুন্দরবনের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেব বলেন, জেলেদের নিরাপত্তা ও সতর্কতার বিষয়ে বিশেষভাবে অবহিত করা হয়েছে। দস্যুভীতির কারণে নিরাপত্তা জোরদার করতে কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে।