তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ সোমবার থেকে আবার প্রবেশের অনুমতি মিলছে সুন্দরবনে। এর ফলে জেলেরা মাছ ধরার সুযোগ পাচ্ছেন এবং পর্যটকরা বনভ্রমণে যেতে পারছেন। বন বিভাগ জানিয়েছে, অভয়ারণ্যসহ ১১টি পর্যটনকেন্দ্রে প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
বন্যপ্রাণী ও মাছের প্রজনন মৌসুমে প্রতিবছরের মতো এবারও ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে মাছ ধরা, নৌযান চলাচল ও পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ ছিল। এতে কচুয়া, চিতলমারী, মোরেলগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার জেলেরা পরিবার নিয়ে আর্থিক সংকটে পড়েছিলেন এবং অনেকে ঋণ নিয়ে দিন কাটিয়েছেন।
নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় স্থানীয় মৎস্যজীবীরা নৌকা, জাল ও ট্রলার প্রস্তুত করেছেন এবং আজ থেকেই মাছ ধরতে যাচ্ছেন। তাদের আশা, এই সুযোগে কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যাবে।
অন্যদিকে পর্যটন ব্যবসায়ীরাও ভ্রমণসূচি হাতে নিয়েছেন। সেপ্টেম্বর থেকে পর্যটক যাতায়াত শুরু হলেও মূল মৌসুম অক্টোবর-নভেম্বর। ইতোমধ্যে ঢাকা ও অন্যান্য এলাকা থেকে করমজল, আন্ধারমানিক ও হারবাড়িয়া ভ্রমণের জন্য লঞ্চ বুকিং দেওয়া হয়েছে।
করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটনকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, দর্শনার্থীদের জন্য ১১টি পর্যটনকেন্দ্রে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তিন মাস লোক সমাগম না থাকায় হরিণ, বানরসহ বন্যপ্রাণীর উপস্থিতি বেড়েছে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বনজীবী ও জেলেদের সহায়তায় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং আগামী বছর থেকে খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। একইসঙ্গে পর্যটনকেন্দ্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সুন্দরবনের মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণে ২০১৯ সাল থেকে প্রতিবছর জুন-আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস মাছ ধরা ও পর্যটক প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়, যাতে নদী-খালের মাছের প্রজনন বৃদ্ধি পায় এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষিত থাকে।