মানবজীবনে আল্লাহর দীন, অর্থাৎ ইসলাম, হলো সঠিক জীবন পরিচালনার নীতি এবং নৈতিক নির্দেশনার মূল ভিত্তি। কিন্তু ইতিহাস প্রমাণ করেছে, অনেকেই দীনকে গুরুত্ব না দিয়ে তা ক্রীড়া, ঠাট্টা বা বিনোদনের বিষয় হিসেবে গ্রহণ করেছে। এর ফলে তারা পার্থিব জীবনের ভ্রান্ত সৌন্দর্যে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছে। কুরআন এ ধরনের আচরণের জন্য কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছে।
আজকের আয়াত (সুেরা আল-আনআম, ৬:৭০) সেই সতর্কবার্তা তুলে ধরে। এখানে বলা হয়েছে, যারা নিজেদের দীনকে ক্রীড়া-কৌতুকের বিষয় বানিয়েছে এবং পার্থিব জীবনের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে বিভ্রান্ত হয়েছে, তাদের থেকে দূরে থাকতে হবে। তারা যখন আল্লাহর আয়াতসমূহের প্রতি বিদ্রূপ বা অবজ্ঞা প্রদর্শন করে, তখন তাদের সঙ্গে বসা বা সহমর্মিতা দেখানো অনুমোদিত নয়।
আয়াতে আরও নির্দেশ আছে, এমন ব্যক্তিদের জন্য কোনো অভিভাবক, সুপারিশকারী বা মুক্তিপণ গ্রহণযোগ্য হবে না; তারা কেবল তাদের কৃতকর্মের কারণে শাস্তির শিকার হবে। আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য নির্ধারিত করেছেন অতি গরম পানীয় (হামীম) ও যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহর দীনকে উপহাস করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে অগ্নিতে নিক্ষেপ করবেন।” (সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম) এছাড়া তিনি বলেছেন, “যে ব্যক্তি দুনিয়ার খেলাধুলা ও আনন্দের জন্য তার শেষ দিন পর্যন্ত আল্লাহর আজ্ঞা উপেক্ষা করে, আল্লাহ তাকে দুনিয়ার ব্যস্ততা এবং পরকালের শাস্তিতে ফেলবেন।” (তিরমিজি)
এই আয়াত ও হাদিসের আলোকে বোঝা যায়, দীনকে বিনোদন বা ক্রীড়া-ঠাট্টার বিষয় বানানো এবং পার্থিব জীবনের ভ্রমে বিভ্রান্ত হওয়া মুসলিমের জন্য মারাত্মক বিপদ। ইসলামের শিক্ষাকে গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করতে হবে, মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে, এবং জীবনের লক্ষ্য কেবল দুনিয়ার মায়া নয়, বরং আখেরাতের জন্য প্রস্তুতি রাখা।
দীনকে বিনোদন বা ঠাট্টার বিষয় বানানোর ফলাফল: কুরআনের সতর্কবার্তা
- আপলোড সময় : ২৩-১০-২০২৫ ১০:৩৩:০৫ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৩-১০-২০২৫ ১০:৩৩:০৫ অপরাহ্ন
ছবি সংগৃহীত
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
ডেস্ক রিপোর্ট