রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলায় সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ডিলারদের বিরুদ্ধে। কৃষকদের দাবি, সরকারি মূল্য অনুযায়ী সার চাইলেও ডিলাররা তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়; অথচ অতিরিক্ত টাকা দিলে মিলছে প্রয়োজনীয় সার। এ অবস্থায় কৃষি উৎপাদনে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চাষিরা।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, টিএসপি, ইউরিয়া, এমওপি ও ডিএপি—প্রতিটি সারের বস্তায় ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত নেওয়া হচ্ছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রির কোনো ভাউচারও দেওয়া হয় না। এতে একদিকে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে ঠিকমতো সার না পেয়ে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। কৃষকরা সরকারের কাছে অবিলম্বে এ অনিয়ম বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারি বরাদ্দ পর্যাপ্ত নয়; চাহিদা মেটাতে অনেক সময় বাইরের বাজার থেকে বেশি দামে সার কিনে আনতে হয়, ফলে বিক্রির দামও কিছুটা বেড়ে যায়। তবে মাঠ পর্যায়ের বাস্তবতায় দেখা গেছে, বেশিরভাগ ডিলারের গুদামেই পর্যাপ্ত সার মজুদ রয়েছে।
কালুখালী উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এলাকায় সরকার অনুমোদিত মোট ৩১ জন সার ডিলার আছেন—এর মধ্যে বিসিআইসি ৭ জন, বিএডিসি ৮ জন এবং ১৬ জন খুচরা ডিলার। তাদের মাধ্যমেই কৃষকদের কাছে নির্ধারিত দামে সার পৌঁছানোর কথা। কৃষকদের অভিযোগ, আগের তুলনায় এখন টিএসপি বস্তা প্রতি প্রায় ৪০০, ইউরিয়ায় ৩০০ ও পটাশে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেশি দাম দিতে হচ্ছে, অথচ ফসলের বাজারদর তেমন বাড়েনি।
উপজেলা কৃষি অফিসার পূর্ণিমা হালদার বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বাইরে থেকে বেশি দামে সার কেনা ও বিক্রির সুযোগ নেই। কেউ এ ধরনের অনিয়মে জড়িত থাকলে, প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
কালুখালীতে সরকারি দামের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রির অভিযোগ, বিপাকে কৃষকরা
- আপলোড সময় : ২৯-১০-২০২৫ ০৯:৪০:১৪ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৯-১০-২০২৫ ০৯:৪০:১৪ পূর্বাহ্ন
ছবি সংগৃহীত
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
ডেস্ক রিপোর্ট