বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) সর্বশেষ তথ্যানুসারে, টাইফয়েডে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাংলাদেশে এখনো উল্লেখযোগ্য। এ কারণেই সরকার দেশব্যাপী টাইফয়েড টিকা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। তবে বর্তমানে ব্যবহৃত ভারতের বায়োলজিক্যাল ই লিমিটেড (Biological E Limited) কোম্পানির উৎপাদিত টিকাটি এখনো পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রিকোয়ালিফাইড তালিকায় নেই।
গবেষকরা বলছেন, টিকার কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা সম্পর্কে দীর্ঘমেয়াদি বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রকাশিত হয়নি। এ কারণে শিশুদের ওপর এর প্রভাব নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছেন।
অন্যদিকে ডা. রেজাউর রহমান মনে করেন, “আমাদের দেশে টিকার বিরুদ্ধে অবস্থান নয়, বরং টিকার মান, নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা যাচাই করে ব্যবহার করা উচিত। ভালো মানের টিকা শিশুদের সুরক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইইডিসিআর (IEDCR) সূত্রে জানা গেছে, এই টিকাটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রাথমিক নির্দেশনা অনুযায়ী অনুমোদনপ্রাপ্ত। টিকাটি শিশুদের টাইফয়েড প্রতিরোধে কার্যকর বলে কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে।
টিকাদান কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. সাজিদা পারভিন বলেন, “দেশব্যাপী টিকাদান কার্যক্রম ইতিবাচকভাবে এগোচ্ছে। জনগণ সাড়া দিচ্ছে ভালোভাবে। আমরা এই কর্মসূচি নিয়ে আশাবাদী।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে ব্যবহৃত টিকার নিরাপত্তা, সংরক্ষণ প্রক্রিয়া এবং কার্যকারিতা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত গবেষণা ও পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন। তারা মনে করেন, যদি টিকাটি দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর প্রমাণিত হয়, তবে এটি শিশুদের টাইফয়েড প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তবে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে— যে টিকাটি এখনো WHO-এর পূর্ণ প্রিকোয়ালিফিকেশন পায়নি, তা দিয়ে এত বিপুল সংখ্যক শিশুকে টিকা দেওয়া কতটা নিরাপদ?
ডেস্ক রিপোর্ট