স্থানীয় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হামিজি আবদুল্লাহ জানান, নিহত ব্যক্তি সেতু নির্মাণ প্রকল্পে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কাজের সময়ে দেরি হওয়াকে কেন্দ্র করে তার সঙ্গে ৪২ বছর বয়সী এক স্থানীয় সহকর্মীর বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে অভিযুক্ত শ্রমিক তাকে বকাঝকা করেন এবং মারাত্মক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, নিহতের গলায় ফাঁসের দাগ ও ঠোঁটে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, যা স্পষ্টভাবে হত্যার ইঙ্গিত দেয়। ঘটনাস্থলটি ছিল একটি একতলা ইটের বাড়ি, যেখানে মোট সাতজন সেতু নির্মাণ শ্রমিক থাকতেন—দুজন স্থানীয় ও পাঁচজন বাংলাদেশি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সংঘর্ষের সময় অভিযুক্ত ব্যক্তি একটি ছোট রড হাতে নেন। এর জবাবে নিহত বাংলাদেশি রান্নাঘর থেকে ছুরি এনে তাকে আঘাতের চেষ্টা করেন। তখন অভিযুক্ত নিকটবর্তী তারের রিল থেকে একটি তার টেনে এনে নিহত শ্রমিকের গলায় পেঁচিয়ে ধরেন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে বাংলাদেশি শ্রমিক অচেতন হয়ে পড়লে অভিযুক্ত নিজেই থানায় গিয়ে ঘটনার রিপোর্ট দেন।
এ ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত স্থানীয় নাগরিকসহ মোট ছয়জনকে আটক করে। আটককৃতদের বয়স ২৯ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে—এর মধ্যে দুজন স্থানীয় ও চারজন বাংলাদেশি নাগরিক। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত তারের রিল, একটি ছুরি এবং একটি কংক্রিটের রড উদ্ধার করেছে।
ঘটনাটি মালয়েশিয়ার দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় (হত্যা) তদন্তাধীন বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার হামিজি আবদুল্লাহ। তিনি আরও জানান, আটকদের রিমান্ডের জন্য আদালতে আবেদন করা হবে।
ডেস্ক রিপোর্ট