গাজরে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই, বিটা-ক্যারোটিন, বায়োটিন ও পটাশিয়াম—যেগুলো শরীর ও চুলের স্বাস্থ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে ভিটামিন এ মাথার ত্বকে তেল নিঃসরণ (সেবাম) নিয়ন্ত্রণ করে এবং স্ক্যাল্পের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখে। ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে, যা চুলের গঠন মজবুত করে। ভিটামিন ই রক্তসঞ্চালন উন্নত করে, ফলে হেয়ার ফলিকলে অক্সিজেন পৌঁছে যায় পর্যাপ্তভাবে।
গাজরের বিটা-ক্যারোটিন শরীরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়, যা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক। পাশাপাশি বায়োটিন ও পটাশিয়াম চুল ভেঙে পড়া কমায় এবং গোড়া মজবুত করে। ফলে নিয়মিত গাজর খাওয়া বা রস পান করা চুলের পুষ্টি বাড়াতে পারে—যদিও তা রাতারাতি ঘন চুল এনে দেয় না।
পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দিচ্ছেন, গাজর শুধু খাওয়াই নয়, বাহ্যিকভাবে ব্যবহার করলেও উপকার মেলে। এর জন্য গাজরের রস বের করে অর্ধেক খেয়ে নিন, বাকি অংশে ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল ও ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ স্ক্যাল্পে লাগিয়ে আধঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেললে মাথার ত্বক সতেজ থাকে এবং চুলের গোড়া পুষ্টি পায়।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু গাজর নয়, সুষম খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণই চুলের আসল পুষ্টির চাবিকাঠি।
ডেস্ক রিপোর্ট