চরম ঝুঁকিপূর্ণ ২১টি উপজেলার মধ্যে রয়েছে— ঢাকার ধামরাই ও ঢাকা সদর, গাজীপুর সদর, কালিয়াকৈর ও শ্রীপুর; টাঙ্গাইলের কালিহাতী; মাদারীপুরের শিবচর ও টেকেরহাট; ফরিদপুরের ভাঙ্গা; পাবনার ঈশ্বরদী; বগুড়ার শেরপুর; নাটোরের বড়াইগ্রাম; চট্টগ্রামের মিরসরাই, পটিয়া ও সীতাকুণ্ড; কক্সবাজারের চকরিয়া; চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা; বরিশালের গৌরনদী; হবিগঞ্জের মাধবপুর এবং ময়মনসিংহের ত্রিশাল ও ভালুকা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকাসহ কয়েকটি বিভাগে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকার সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ঢাকা বিভাগে এককভাবে সবচেয়ে বেশি—৩০টিরও বেশি উপজেলা দুর্ঘটনাপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত। এর মধ্যে আছে ঢাকা সদর, ধামরাই, সাভার, কেরানীগঞ্জ, গাজীপুর সদর, কালিয়াকৈর, টাঙ্গাইল সদর ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও। চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগেও একাধিক উপজেলা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে শনাক্ত হয়েছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানায়, দুর্ঘটনার মূল কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে—সড়কের নকশাগত ত্রুটি, নিরাপত্তা উপকরণের অভাব, গতি নিয়ন্ত্রণে দুর্বলতা, বিভিন্ন ধরণের যানবাহনের বেপরোয়া চলাচল, চালকদের দক্ষতার ঘাটতি এবং সড়ক পার্শ্ববর্তী এলাকার জনগণের অসচেতনতা।
সংগঠনটি আরও জানায়, সড়ক উন্নত হলেও যানবাহনের সংখ্যা ও গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে, ফলে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকার পরিসরও ক্রমে বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নিরাপদ ও টেকসই সড়ক পরিবহন কৌশল প্রণয়ন এবং তার বাস্তবায়নে স্থানীয় কমিউনিটি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।
ডেস্ক রিপোর্ট