যশোরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জাল দলিল ও ভুয়া খাজনা রশিদ ব্যবহার করে তিন কোটি টাকার একটি বিরোধপূর্ণ জমি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ভূমি অফিসও রশিদটির ভুয়াতা স্বীকার করেছে। বিষয়টি নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ করা হয়েছে, যার শুনানি রোববার (২৬ অক্টোবর) নির্ধারিত আছে।
অভিযোগকারী যশোর শহরের ঘোপ জেল রোড এলাকার মৃত ফজলে আকবরের ছেলে ফজলে রাব্বী জানান, ঘোপ মৌজার এস.এ. ৫০৩, আর.এস. ৫২৩ খতিয়ান ও দাগ নং ১৭৭০–এর আওতাভুক্ত ২৮.৬৯ শতক জমির মধ্যে ছয় শতক নিয়ে বিরোধ চলছে। তার অভিযোগ, ওই জমির প্রাক্তন কেয়ারটেকার মোশরফ হোসেন জাল দলিল তৈরি করে জমিটি নিজের নামে নেন এবং পরবর্তীতে তা বিক্রি করার চেষ্টা করেন।
বিষয়টি আদালতে মামলা আকারে চলমান থাকায় জমিতে নিষেধাজ্ঞা সংবলিত সাইনবোর্ডও টানানো রয়েছে। আদালতের নির্দেশে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) পরিশোধও বন্ধ রয়েছে।
তবুও অভিযোগ অনুযায়ী, সম্প্রতি মোশরফ হোসেন ভুয়া খাজনা রশিদ তৈরি করে ওই ছয় শতক জমি উপশহরের বাসিন্দা ফজলিয়ারা জাহানের কাছে তিন কোটি টাকায় বিক্রি করেন। গত ৪ আগস্ট দলিল নং ১০৫৬৩/২৫–এর মাধ্যমে জমিটি রেজিস্ট্রি হয়। ফজলে রাব্বীর দাবি, প্রভাবশালী এক কর্মকর্তাকে অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমেই রেজিস্ট্রির কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
এ বিষয়ে যশোর পৌর ভূমি অফিসের নায়েব কাজী আতিয়ার রহমান বলেন, “রশিদটি আমি দেখেছি—এটি কম্পিউটারে তৈরি করা ভুয়া রশিদ। ওই জমির খাজনা আসলে পরিশোধ হয়নি। একটি প্রতারক চক্র এই ধরনের জাল কাগজপত্র তৈরি করে মানুষকে প্রতারণা করছে।”
অন্যদিকে, মোশরফ হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন যে, তিনি জমি বিক্রির সঙ্গে জড়িত নন।
ডেস্ক রিপোর্ট