বরগুনা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে নিজ অফিসকে বাসাবাড়ি বানিয়ে বসবাসের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি বিধি অনুযায়ী কৃষি কর্মকর্তাদের অফিসে থাকার অনুমতি না থাকলেও তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই ভবনের তৃতীয় তলার একটি রুমে বসবাস করছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
অফিস সূত্রে জানা যায়, মোস্তাফিজুর রহমান যোগদানের পর থেকেই অফিসের উন্নয়ন শাখার একটি রুম দখল করে সেখানে বসবাস শুরু করেন। সরকারি নিয়মে কৃষি কর্মকর্তাদের বাসা ভাড়ার জন্য মূল বেতনের ১৬ শতাংশ ভাতা প্রদান করা হয়, কিন্তু অফিসে থাকার কোনো অনুমোদন নেই।
কিছু কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আগের কোনো উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অফিসে থাকেননি। তবে মোস্তাফিজুর রহমান যোগদানের পর থেকেই সেখানে বসবাস করছেন এবং অধীনস্ত হওয়ায় তারা কেউ তাকে কিছু বলতে পারেন না।
এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, তিনি যোগদানের পরপরই একযোগে ১৬ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে বদলি করান, যার কারণে জেলা উপপরিচালক (ডিডি) তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। এমনকি তিনি সেই শোকজপত্র নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন, যা পরে আবারও শোকজের কারণ হয়।
বরগুনা জেলা ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শাহিন মোল্লা বলেন, “একদিন অফিস সময়ে গিয়ে দেখি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শর্টপ্যান্ট পরে কাজ করছেন এবং খোলা জায়গায় ধূমপান করছেন। এটি একজন সরকারি কর্মকর্তার মর্যাদার সঙ্গে যায় না।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “আমি বরগুনায় যোগদানের পর থেকেই অফিসে থাকি। ছুটি পেলে পটুয়াখালী যাই।”
বরগুনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ডিডি) রথীন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, “আমি জানতাম না তিনি অফিসে থাকেন। সরকারি নিয়মে এটি অনুমোদিত নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্টাফ রিপোর্টার