মামলার বাদীর বক্তব্য অনুযায়ী, হত্যাকাণ্ডের সময় হৃদয় দাদীকে প্রশ্ন করেছিল, ‘তোমার রব কে?’ উত্তর দিতে না পারায় তিনি দাদীকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি পরবর্তীতে বড়মজিদপুরের রফিকুলের পরিত্যক্ত রাইচ মিল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহত দাদি ও নিহতের স্বামী (হৃদয়ের দাদা) আলাদা ঘরে ছিলেন। শনিবার ভোর রাতে স্বামী আব্দুল হাকিম ঘরের বাইরে আসলে স্ত্রীর ঘরের দরজা খোলা দেখতে পান। ঘরে প্রবেশ করলে তিনি গলা কাটা অবস্থায় নিহতের মৃতদেহ খাটের ওপর পড়ে থাকতে দেখেন এবং চিৎকার শুরু করেন। আশপাশের লোকজন এসে সহায়তা করেন, এরপর নিহতের দুই ছেলে রাশেদুল ও শাহিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পীরগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দেন।
পুলিশ জানায়, হৃদয় শুক্রবার রাত ১টার দিকে ঢাকা থেকে হানিফ পরিবহন যোগে খেজমতপুরে নেমে সরাসরি দাদা-দাদির বাড়িতে আসে। রাতের খাবারের পর খোশগল্পের সময় হৃদয় ও দাদীর মধ্যে তর্কের সৃষ্টি হয়, যার পরিণতি দাদীর হত্যায় হয়। পীরগঞ্জ থানা ওই দিনই অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা রুজু করেছে।
ডেস্ক রিপোর্ট