যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে মূল্য সংযোজিত পণ্য রপ্তানিতে শীর্ষ তিন দেশের তালিকায় স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে কম্বোডিয়া, দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ এবং তৃতীয় স্থানে ভিয়েতনাম।
শুক্রবার প্রকাশিত আইএমএফের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্য রপ্তানিতে মূল্য সংযোজনের সুযোগ অনেক দেশই কাজে লাগাতে পারেনি। তবে কম্বোডিয়া, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম সফলভাবে এই সুযোগ ব্যবহার করে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে মূল্য সংযোজিত পণ্য রপ্তানিতে কম্বোডিয়ার প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২১ শতাংশ, বাংলাদেশের ২০ শতাংশ এবং ভিয়েতনামের ১০ শতাংশ। অন্যদিকে জাপান, মালয়েশিয়া, কোরিয়া, ফিলিপাইন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও তাইওয়ানের প্রবৃদ্ধি কমেছে।
আইএমএফ আরও জানায়, এশিয়ার দেশগুলোর পণ্য রপ্তানির প্রধান গন্তব্য ইউরোপ ও আমেরিকা। এসব অঞ্চল থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পাশাপাশি রেমিট্যান্সের অর্থও এশিয়ার অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখছে। এর মাধ্যমে আমদানি ব্যয় মেটানো এবং বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখা সহজ হয়।
প্রতিবেদনে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৪ দশমিক ৯ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। এর আগে অক্টোবর মাসে প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক’-এও একই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।
আইএমএফ বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্যের মূল্য সংযোজন বাড়ানো সম্ভব হলে রপ্তানির সুযোগ আরও বাড়বে। বর্তমানে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি মূল্য সংযোজিত পণ্য রপ্তানি করছে তৈরি পোশাক খাতে। এর পাশাপাশি চামড়াজাত ও হস্তজাত পণ্যেও রপ্তানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলেও প্রবৃদ্ধি অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।
ডেস্ক রিপোর্ট