আইনের ধারা অনুযায়ী, বৈধ মালিকানার দলিল থাকলে জমি জবরদখল হলে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিষয়টি তদন্ত করবেন এবং সাত দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে মালিকের দখল পুনরুদ্ধার করবেন। তদন্ত প্রক্রিয়া দীর্ঘ হলে তিন মাসের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। প্রমাণিত দখলবাজদের জন্য সর্বনিম্ন দুই বছর থেকে সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
এছাড়া, নির্দিষ্ট শ্রেণির জমি সংক্রান্ত বিরোধে আদালতের পরিবর্তে সরাসরি ডিসি অফিসে আবেদন করা যাবে। বাটোয়ারা বা সম্পত্তি ভাগ-বণ্টন সংক্রান্ত সমস্যায় লিগ্যাল এইড সেন্টারের মাধ্যমে বিনা খরচে দ্রুত সমাধান পাওয়া যাবে, যা পরিবারিক বা ওয়ারিশদের মধ্যে বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তি করতে সহায়ক হবে।
সরকারি কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, ভুয়া মালিক বা জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে আইনের অপব্যবহার করলে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আইন কার্যকর হলে ভূমি দখল, দীর্ঘস্থায়ী মামলা, এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মাধ্যমে জমি দখলের প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে। প্রকৃত মালিকরা এখন থেকে দ্রুত ও সহজভাবে তাদের সম্পত্তি পুনরুদ্ধারের সুযোগ পাবেন, যা এই আইন প্রণয়নের মূল লক্ষ্য।
ডেস্ক রিপোর্ট