এই বিপুল পরিমাণ বোমা, রকেট ও গোলাবারুদ যেকোনো সময় বিস্ফোরিত হয়ে আরও প্রাণহানি ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো। এসব বিস্ফোরক অধিকাংশই ইসরায়েলের বিমান হামলা ও স্থল আক্রমণের সময় ফেলানো হয়, যা অনেক ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্ফোরিত হয়নি। ফলে বাড়িঘর, বিদ্যালয়, হাসপাতাল ও আশ্রয়কেন্দ্রের ধ্বংসস্তূপের নিচেও লুকিয়ে আছে অনিশ্চিত মৃত্যু।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত গাজা জুড়ে ৬৫ থেকে ৭০ মিলিয়ন টন ধ্বংসস্তূপ তৈরি হয়েছে। তাতে হাজারো স্থাপনা—বাসগৃহ, জনসেবা কেন্দ্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অবকাঠামো—সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। অব্যাহত ধ্বংসযজ্ঞের ফলে উদ্ধার কার্যক্রম ও পুনর্গঠন কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এত বিপুল পরিমাণ অবিস্ফোরিত গোলাবারুদ কেবল তাৎক্ষণিক ঝুঁকিই নয়; এটি দীর্ঘমেয়াদে গাজার পুনর্গঠন প্রক্রিয়াকে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করবে। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা ও মাইন অপসারণ অভিযান শুরু করা এখন সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সূত্র: Gaza Center for Human Rights
ডেস্ক রিপোর্ট