দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের অব্যাহত সামরিক অভিযান ও হামলার পর গাজা উপত্যকা পরিণত হয়েছে এক ভয়াবহ মৃত্যু ফাঁদে। Gaza Center for Human Rights–এর সাম্প্রতিক তথ্যে জানা গেছে, পুরো অঞ্চলে প্রায় ২০,০০০ অবিস্ফোরিত বিস্ফোরক ডিভাইস—যার ওজন আনুমানিক দশ হাজার টন—এখনও ছড়িয়ে আছে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়।
এই বিপুল পরিমাণ বোমা, রকেট ও গোলাবারুদ যেকোনো সময় বিস্ফোরিত হয়ে আরও প্রাণহানি ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো। এসব বিস্ফোরক অধিকাংশই ইসরায়েলের বিমান হামলা ও স্থল আক্রমণের সময় ফেলানো হয়, যা অনেক ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্ফোরিত হয়নি। ফলে বাড়িঘর, বিদ্যালয়, হাসপাতাল ও আশ্রয়কেন্দ্রের ধ্বংসস্তূপের নিচেও লুকিয়ে আছে অনিশ্চিত মৃত্যু।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত গাজা জুড়ে ৬৫ থেকে ৭০ মিলিয়ন টন ধ্বংসস্তূপ তৈরি হয়েছে। তাতে হাজারো স্থাপনা—বাসগৃহ, জনসেবা কেন্দ্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অবকাঠামো—সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। অব্যাহত ধ্বংসযজ্ঞের ফলে উদ্ধার কার্যক্রম ও পুনর্গঠন কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এত বিপুল পরিমাণ অবিস্ফোরিত গোলাবারুদ কেবল তাৎক্ষণিক ঝুঁকিই নয়; এটি দীর্ঘমেয়াদে গাজার পুনর্গঠন প্রক্রিয়াকে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করবে। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা ও মাইন অপসারণ অভিযান শুরু করা এখন সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সূত্র: Gaza Center for Human Rights