বৃহস্পতিবার ভোরে স্থানীয়রা রাস্তার পাশে একটি গাছের সঙ্গে তার পা বাঁধা অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তিনি বর্তমানে শারীরিকভাবে দুর্বল হলেও আশঙ্কামুক্ত।
নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে মুফতি মহিবুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন,
“বুধবার ফজরের নামাজের পর হাঁটতে বের হলে একটি অ্যাম্বুল্যান্সে করে পাঁচজন এসে মুখে কাপড় চেপে আমাকে তুলে নেয়। এরপর তারা অমানবিক নির্যাতন চালায়। কয়েক মাস ধরে একাধিক চিঠি দিয়ে আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল—একজন ইসকন নেতার পক্ষে কথা বলতে, বিএনপি-জামায়াত বা এনসিপির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে এবং হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কের পক্ষে বয়ান দিতে বলা হয়েছিল। তাদের কথা না মানলে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
তিনি দাবি করেন, নির্যাতনের সময় তাকে বিবস্ত্র করে লাঠি ও বোতল দিয়ে আঘাত করা হয়, এবং অপহরণকারীরা প্রমিত বাংলায় কথা বললেও তাদের আচরণে “বিদেশি ধাঁচ” লক্ষ্য করেছেন।
পরিবার জানিয়েছে, মসজিদে এক জুমার খুতবায় ইসকনবিরোধী বক্তব্য দেওয়ার পর থেকেই খতিবকে লক্ষ্য করে একাধিক হুমকিমূলক চিঠি পাঠানো হচ্ছিল। চিঠিতে ধর্মীয় অবস্থান পরিবর্তনের চাপ, না মানলে প্রাণনাশ ও পরিবারের ক্ষতির হুমকি ছিল।
তারা আরও জানায়, কয়েক মাস আগে খতিবের বাড়িতে সন্দেহজনক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে; তখন শর্টসার্কিট বলা হলেও পরে চিঠির ভাষা দেখে পরিবার ঘটনাটিকে পরিকল্পিত মনে করছে।
পরিবার অভিযোগ করেছে, “থানায় সহায়তা চাইতে গেলে পুলিশ গুরুত্ব দেয়নি।”
পঞ্চগড় পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী বলেন,
পঞ্চগড় পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী বলেন,
“৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। শিকল বাঁধা অবস্থায় একজন বয়স্ক ব্যক্তিকে পাই, পরে পরিচয় নিশ্চিত হই। তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং টঙ্গী থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।”
পঞ্চগড় সিভিল সার্জন ডা. মিজানুর রহমান জানান,
“মুফতি মহিবুল্লাহ আগে থেকেই কিডনি ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। বর্তমানে স্থিতিশীল আছেন।”
ডেস্ক রিপোর্ট