প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার সন্ধ্যায় দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথাকাটাকাটিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে। কয়েক ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে অন্তত ১৫টি গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল।
আজ সোমবার সকালে সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে দেখা যায়, প্রশাসনিক ভবনে ভাঙচুরের চিহ্ন, ভাঙা আসবাব ও কাচের টুকরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সব ধরনের ক্লাস ও পরীক্ষা, অনেক শিক্ষার্থী হল ছেড়ে যাচ্ছেন।
সকালে পরিস্থিতি সামাল দিতে সিটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতিনিধিরা। ক্ষমা প্রার্থনা ও ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেন ড্যাফোডিলের ডিন বিমল চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, “এই ঘটনায় আমরা গভীরভাবে দুঃখিত। তদন্ত সাপেক্ষে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।”
অন্যদিকে, সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান জানান, বর্তমানে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ জন শিক্ষার্থী তাদের হেফাজতে রয়েছেন। তিনি বলেন, “ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩০ কোটি টাকা। ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সরাসরি হস্তক্ষেপ ছাড়া আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তি দেওয়া হবে না।”
সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর মোহাম্মদ আবু জায়েদ জানান, এই সংঘর্ষ পূর্বপরিকল্পিত বলে মনে হচ্ছে। যদি তা আকস্মিক হতো, এমন ভয়াবহ সহিংসতা সম্ভব ছিল না।
বর্তমানে আশুলিয়া এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে নতুন করে কোনো অস্থিতিশীলতা না ঘটে।
ডেস্ক রিপোর্ট