প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার এই মন্তব্য করেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে, যা ৪৭তম আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের প্রেক্ষাপটে অনুষ্ঠিত হয়। তাঁর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়া ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং গাজায় ইসরায়েলি সরকারের মানবিক অবরোধকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
বৈঠকে আনোয়ার ও গুতেরেস এছাড়াও আঞ্চলিক শান্তি প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করেন, যেমন থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সংলাপ সহজ করা এবং মিয়ানমারে অন্তর্ভুক্তিমূলক আলোচনাকে উৎসাহিত করা।
মার্কিন মধ্যস্থতায় ১০ অক্টোবর গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও, ধ্বংসস্তূপ ও অনিশ্চয়তার মধ্যে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ৬৬ হাজার টন বিস্ফোরণহীন গোলাবারুদ এখনো ঝুঁকি তৈরি করছে। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থা এবং মিশরীয় দল ইতোমধ্যে গাজায় প্রবেশ করেছে। হামাস ১৫টি মৃতদেহ ফেরত দিয়েছে, তবে পাঁচ দিন ধরে নতুন লাশ হস্তান্তর হয়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করেছেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অগ্রগতি না হলে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
মালয়েশিয়ার এই পদক্ষেপকে বিশ্লেষকরা আঞ্চলিক শান্তি এবং মানবিক সহায়তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংকেত হিসেবে দেখছেন, যা গাজায় চলমান অনিশ্চয়তা ও মানবিক সংকট মোকাবেলায় প্রভাব ফেলতে পারে।
ডেস্ক রিপোর্ট