বাংলাদেশে প্রবাসী আয় ও রফতানি বৃদ্ধি ও অন্যান্য অর্থনৈতিক কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি সময়ে দেশের গ্রস রিজার্ভ ৩২.১৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভ ২৭.৩৪ বিলিয়ন ডলার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলারের ওপরে রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানিয়েছেন, মূলত প্রবাসী আয়, রফতানি, বিদেশি বিনিয়োগ ও বিভিন্ন ঋণ সংগ্রহের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ তৈরি হয়। একই সঙ্গে আমদানি ব্যয়, ঋণের কিস্তি, বিদেশি কর্মীদের বেতন এবং অন্যান্য খরচের মাধ্যমে মুদ্রা ব্যয় হয়। বাকি থাকা অর্থই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভে যুক্ত হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পর বৈধভাবে প্রবাসী আয় দেশে আসার প্রবণতা বেড়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংককে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে হয়নি, বরং ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে ডলার ক্রয় করতে হয়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে দেশে প্রাপ্ত রেমিট্যান্স যথাক্রমে ২৪৭.৭৯, ২৪২.২০ ও ২৬৮.৫৮ কোটি ডলার।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে দেখা যায়, দশ বছরের মধ্যে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৩ সালে রিজার্ভ ছিল ১৫.৩২ বিলিয়ন ডলার; ২০২১ সালের আগস্টে তা সর্বোচ্চ ৪৮.০৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। তবে পরবর্তী বছরগুলোতে রিজার্ভে কিছুটা হ্রাস দেখা গেছে।
বাংলাদেশের রিজার্ভ বৃদ্ধির এই প্রবণতা দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
ডেস্ক রিপোর্ট