ইসলাম এমন এক পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যেখানে শুধু নামাজ-রোজা নয়, মানুষের প্রতি ভালো ব্যবহার বা সুন্দর আচরণকেও ঈমানের পরিপূর্ণতার অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেন— "তোমরা সুন্দরভাবে কথা বলো মানুষদের সঙ্গে।" (সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ৮৩)
এই আয়াত আমাদের শিখিয়ে দেয়, একজন মুসলমানের মুখ থেকে যেনো কখনো কটু, অপমানজনক বা অহংকারী কথা না বের হয়।
ভালো ব্যবহার শুধু দান বা ইবাদতের বিকল্প নয়— বরং এটি এমন এক ইবাদত, যা মানুষের হৃদয় জয় করে নেয়।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন— "তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম, যার আচার-ব্যবহার সর্বোত্তম।" (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬০৩৫)
আরেকটি হাদীসে তিনি আরও বলেন—
"সদাচরণ ও নম্র ব্যবহার মানুষের কর্মফলকে এমন উচ্চতায় পৌঁছে দেয়, যা রোজা ও নামাজের মাধ্যমে অর্জন করা যায়।" (সুনান আবু দাউদ, হাদিস: ৪৭৯৮)
অর্থাৎ, ভালো ব্যবহার কেবল মানুষের প্রতি সৌজন্য নয়— এটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের এক মহাসোপান।
ভালো ব্যবহার কেমন হওয়া উচিত?
> কাউকে কষ্ট না দেওয়া
> কথা বলার সময় নরম ও বিনয়ী থাকা
> অন্যের দোষ না খোঁজা
> হাসিমুখে কথা বলা — কারণ এটি নিজেই একপ্রকার দান (সদকা)
রাসূল ﷺ বলেছেন— "তোমার ভাইয়ের প্রতি তোমার হাসিমুখও একপ্রকার দান।" (তিরমিজি, হাদিস: ১৯৫৬)
একজন মুসলমানের প্রকৃত সৌন্দর্য তার মুখের হাসি, কথার নম্রতা, ও আচরণের কোমলতায়।
যে মানুষ আল্লাহর ইবাদতের পাশাপাশি মানুষের প্রতি দয়ালু ও ভদ্র থাকে— সে-ই প্রকৃত মুমিন।