সূত্রগুলো বলছে, এই সিদ্ধান্তটি একটি সাম্প্রতিক চুক্তির শর্তের অংশ—বন্দিদের দেহ প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ায় ইসরায়েল সীমান্ত পুনরায় খুলতে অনীহা প্রকাশ করেছে। রেড ক্রিসেন্ট ও মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো চেষ্টা করে আসছিলেন দ্রুত দেহ হস্তান্তরের জন্য, কিন্তু বিস্তীর্ণ ধ্বংসস্তূপ ও নিরাপত্তাজটিলতার কারণে মৃতদেহ উদ্ধার ও শনাক্তকরণে সময় লাগছে।
এতে সরাসরি প্রভাব পড়ছে গাজার দক্ষিণে রাফাহ দিয়ে প্রবাহিত ত্রাণচক্রে—আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো জানিয়েছে, প্রত্যাশিত হারে কনভয় ঢুকছে না এবং কয়েকশ’ হাজার লোক এখনও তীব্র সহায়তার অপেক্ষায়। সাহায্যের পরিমাণ কমানো ও ক্রসিং বন্ধ রাখার ফলে দুর্ভিক্ষ-ঝুঁকি ও স্বাস্থ্যসেবা সংকট বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন মানবিক সংস্থাগুলো।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলছে, দেহ হস্তান্তর ইস্যুতে চুক্তিভঙ্গ হলে তারা "চাপে" থেকে প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন করবে না; অন্যদিকে মধ্যস্থতাকারী দেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠন জোর দিয়ে বলছে—মানবিক চ্যানেলগুলো খোলা রাখা উচিত যাতে সাধারণ মানুষকে জরুরি সহায়তা পৌঁছে দেয়া যায়। এ বিবাদ কিভাবে সমাধান হবে, তা এখনও অনিশ্চিত।