ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানান, নিহতদের সবাইকে ‘আনোয়ার ফ্যাশন’ নামের পোশাক কারখানা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, "তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে, আরও হতাহতের আশঙ্কা রয়েছে।"
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। প্রথমে পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, পরে আরও কয়েকটি ইউনিট যোগ দেয়। তিনি বলেন, "পাশের কেমিক্যাল গোডাউনে এখনও আগুন জ্বলছে, যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ড্রোনসহ সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।"
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তিনতলা কারখানার নিচতলার ওয়াশ ইউনিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। আগুন দ্রুত পাশের রাসায়নিক গুদামে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিস্ফোরণের পর মুহূর্তেই পুরো ভবন জুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভবনে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না, যা আগুনের বিস্তারে ভূমিকা রাখতে পারে।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগছে কারণ কেমিক্যালের উপস্থিতি আগুনকে ঘন ও বিস্ফোরণপ্রবণ করেছে। উদ্ধার অভিযান এখনো চলছে।