এই উদ্যোগের প্রথম ধাপে ২৫ আগস্ট কক্সবাজারে ‘অংশীজন সংলাপ: রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে আলোচনার জন্য প্রাপ্ত বার্তা’ শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক সভা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে নিউইয়র্কে রোহিঙ্গা বিষয়ক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এর পরবর্তী ধাপে ৬ ডিসেম্বর কাতারের দোহায় একটি বৃহৎ আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, যা রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি ও সহমত তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এই সম্মেলনগুলোতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান অতিথির ভূমিকায় অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়াও সৌদি আরব, কাতার, চীন, তুরস্ক, ফিনল্যান্ড, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং গাম্বিয়াসহ অন্তত ১০টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জাতিসংঘ সংস্থা ও আন্তর্জাতিক দূতরা উপস্থিত থাকবেন। বাংলাদেশের বিদেশে অবস্থানরত প্রতিনিধিত্বসহ বিভিন্ন দেশে বসবাসরত রোহিঙ্গা নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিও তাতে গুরুত্ব বহন করবে।
বিগত বছরগুলোতে রোহিঙ্গাদের মানবিক চাহিদা ও নিরাপদ প্রত্যাবাসন এককভাবে আন্তর্জাতিকভাবে সম্পূর্ণরূপে কার্যকর হবার সময় পায়নি। তাই এই নতুন বৈশ্বিক উদ্যোগ আশা জাগাচ্ছে সংকটের টেকসই সমাধানে। সম্মেলনগুলোতে অংশগ্রহণকারীরা সিরিয়াস পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সমন্বিত পরিকল্পনা তৈরির মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও স্বাবলম্বিতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সচেষ্ট হবেন।
তথ্যনির্ভর এই উদ্যোগের ফলে কক্সবাজার আশ্রয়কেন্দ্র এবং প্রবাসী রোহিঙ্গাদের জন্য উন্নত জীবনযাত্রার ব্যবস্থা ও নিরাপদ প্রত্যাবাসনের পথ সুগম হবে বলে প্রত্যাশিত। এছাড়া আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই সংকট সমাধানের প্রতি অধিক গুরুত্বারোপ ও সমন্বয়ের নতুন দরজা খুলবে।