জাওইয়ার এই শোধনাগারটি লিবিয়ার অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকেই দেশটি দুটি প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রশাসনের মধ্যে বিভক্ত হয়ে আছে। রাজধানী ত্রিপোলি-ভিত্তিক জাতিয় ঐক্যের সরকার (Government of National Unity - GNA/GNU) আন্তর্জাতিক সমর্থন পেলেও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর প্রভাব রয়েছে।
তেল শোধনাগারের নিয়ন্ত্রণ মূলত অর্থনৈতিক ক্ষমতা এবং ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের একটি চেষ্টা। স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো প্রায়শই গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ দখল করে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার চেষ্টা করে। সাম্প্রতিক এই তীব্র সংঘর্ষ তেল উৎপাদন ও সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, যা বিশ্ববাজারেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই সংঘাত লিবিয়ার দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা এবং যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।