খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা ও পৌর এলাকায় বর্তমানে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে, যার ফলে জনজীবন কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে জেলার গুইমারা উপজেলাতেও। গতকালের সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও পুলিশ জানিয়েছে, এসব ঘটনায় একাধিক মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
এলাকাজুড়ে যানবাহন ও মানুষের চলাচল সীমিত হয়ে পড়েছে। সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের কড়া নজরদারির মধ্যে দূরপাল্লার যানবাহন নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে ছাড়ছে, তবে স্বাধীনভাবে কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না।
এদিকে, জুম্ম ছাত্র জনতার নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ থেকে তিন পার্বত্য জেলায় অনির্দিষ্টকালের অবরোধ আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে এর আগেও তারা সামাজিক মাধ্যমে অবরোধ ডাক দিয়ে তা প্রত্যাহার করেছিল। ফলে এবারের ঘোষণাকে ঘিরে প্রশাসন, পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে, ধর্ষণ ঘটনার জেরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ও দুর্গোৎসবের প্রতি সম্মান জানিয়ে মারমা ঐক্য পরিষদ ও মারমা উন্নয়ন সংসদ বিবৃতি দিয়েছে। সংগঠনগুলো অভিযোগ করেছে, জুম্ম ছাত্র জনতার ব্যানার ব্যবহার করে একটি স্বার্থান্বেষী মহল পাহাড়ি জনগণকে অস্থিতিশীলতার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানান, ধর্ষণের অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে এবং তাকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি হামলা, সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের প্রতিটি ঘটনায় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।
এর আগে রবিবার ১৪৪ ধারা ভেঙে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ-সমাবেশ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একই দিন গুইমারায় দুষ্কৃতিকারীদের গুলিতে তিনজন নিহত হন এবং এক মেজরসহ ১৩ জন সেনাসদস্য আহত হওয়ার ঘটনা নিশ্চিত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।