রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচার পরিবেশনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার সর্বশেষ ও ৫৪তম সাক্ষী হিসেবে তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর সাক্ষ্য প্রদান করবেন। এ সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ পর্বের সমাপ্তি ঘটবে। সাক্ষ্য প্রদানের অংশবিশেষ এবং মামলায় জব্দকৃত ভিডিও প্রমাণ সরাসরি সম্প্রচার করা হতে পারে, যা সকাল সাড়ে ১১টা থেকে টেলিভিশনে প্রচার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে বিভিন্ন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি। আসামিপক্ষ থেকে পলাতক থাকা অবস্থায় স্বাভাবিকভাবে সাফাই সাক্ষী দেওয়া সম্ভব হয়নি। এই পরিস্থিতিতে মামলার যুক্তি-তর্ক শীঘ্রই শুরু হওয়ার কথা।
মামলার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পূর্বাভাস জানিয়ে এক প্রসিকিউটর জানান, শেষ পর্যায়ে আসা এই বিচারিক প্রক্রিয়া সম্ভবত আগামী নভেম্বর মাসে রায়ের মাধ্যমে সমাপ্ত হবে। মামলায় আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি সহ মোট তিনজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অভিযোগ রয়েছে, যা জুলাই-আগস্ট শব্দ আন্দোলনের ভিত্তিতে ভিত্তিমূলক।
এ মামলাটি ২০২৪ সালের আগস্টে পুনর্গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয় এবং তখন থেকে বিচারের আনুষ্ঠানিকতা চলছে। রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষ থেকে আইনগত সব কার্যক্রম সম্পূর্ণ ন্যায়সঙ্গত ও স্বচ্ছভাবে সম্পাদিত হচ্ছে। আসামি শেখ হাসিনা ও তার আইনজীবীরা আদালতে যথাযথ প্রতিনিধিত্ব পাচ্ছেন।
মামলার গুরুত্ব এবং জনমানসের নজর দৃষ্টিতে রেখে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এই ঐতিহাসিক বিচার নজরকাড়া। আগামী মাসগুলোতে বিচার প্রক্রিয়ার নতুন ধাপ ও সম্ভবত সিদ্ধান্তের দিকে দেশের ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অনেকেই চোখ রাখবেন।
উপরিউক্ত তথ্যগুলো থেকে স্পষ্ট যে, দীর্ঘ দিন ধরে বিচারাধীন থাকা মানবতাবিরোধী অভিযোগের মামলায় যাবতীয় সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী পর্যায়ে যুক্তিতর্ক শুরু হবে এবং ভারতের মতো বৃহত্তর বিচারিক প্রেক্ষাপটে বিচারকুরি সম্পন্ন হওয়া অপেক্ষা করছে। এসব বিচারিক কার্যক্রম দেশের রাজনৈতিক ও আইনি ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য স্থান অধিকার করবে।