২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য থেকে আলাদা করে লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করে ভারত সরকার, যা লাদাখবাসীর মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করে। সাম্প্রতিক সময়ে সেই অসন্তোষ পুনরায় বিক্ষোভে রূপ নেয়, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন অ্যাক্টিভিস্ট সোনম ওয়াংচুক। আন্দোলনকারীদের মূল দাবি হলো লাদাখকে পুনরায় রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া এবং স্থানীয়দের জন্য সরকারি চাকরিতে কোটা নিশ্চিত করা। এছাড়া, উপজাতীয় অঞ্চলগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নির্বাচিত স্থানীয় সংস্থা গঠনের দাবিও জানানো হয়েছে।
সংঘর্ষের সময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে পাথর ছুঁড়লে পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এএনআই সংবাদ সংস্থার প্রকাশিত ভিডিওতে বিজেপি কার্যালয় থেকে কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন পুলিশ সদস্যসহ ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে আন্দোলনকারী সোনম ওয়াংচুক তার ১৫ দিনের অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেছেন। তিনি যুবকদের প্রতি সহিংসতার পথ পরিহার করার আহ্বান জানান এবং বলেন যে, সহিংসতা লাদাখের সমস্যার সমাধান নয়। অন্যদিকে, স্থানীয় প্রশাসন শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বিক্ষোভ, জনসমাবেশ এবং উসকানিমূলক বক্তব্য নিষিদ্ধ করেছে।
লাদাখের লেফটেন্যান্ট-গভর্নরের কার্যালয় এবং পুলিশ রয়টার্সের অনুরোধে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চলের নেতাদের সঙ্গে ভারত সরকারের আলোচনা ২০২৩ সাল থেকে চলছে, যার পরবর্তী ধাপের বৈঠক আগামী ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।