কলম্বিয়ার এই অবস্থান দেশটির পররাষ্ট্রনীতিতে একটি বড় পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে। দেশটির দীর্ঘদিনের অভ্যন্তরীণ গৃহযুদ্ধ-পরবর্তী পরিস্থিতিতে তারা মানবাধিকার রক্ষা এবং বৈশ্বিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার নীতি গ্রহণ করেছে। এই পদক্ষেপকে মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ফিলিস্তিন নীতির বিরুদ্ধে একটি জোরালো প্রতিক্রিয়া হিসেবেও দেখা হচ্ছে। বিশেষত, গোস্তাভো পেত্রোর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে পশ্চিমা নীতির প্রতি কলম্বিয়ার সমালোচনা ক্রমশ বেড়েছে।
পেত্রোর এমন বক্তব্যের পর অধিবেশনে উপস্থিত কিছু পশ্চিমা দেশ, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা স্থান ত্যাগ করেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কলম্বিয়ার সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে। তবে এটি প্রতীকী নাকি বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। একটি কার্যকর আন্তর্জাতিক সশস্ত্র বাহিনী গঠন করা সামরিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে ব্যাপক চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে, কারণ এর জন্য উল্লেখযোগ্য আর্থিক ও সামরিক সম্পদের প্রয়োজন হবে, যা কেবল এককভাবে কলম্বিয়ার পক্ষে অর্জন করা সম্ভব নয়। ফলে এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিভিন্ন দেশের সংগঠিত সহযোগিতা অপরিহার্য।
সব মিলিয়ে, ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানাতে এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই ইস্যুটির প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করতে কলম্বিয়ার এই জোরালো আহ্বানকে দেশটির পররাষ্ট্রনীতির এক নতুন দিক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।