শুক্রবার আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন, রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার এবং জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ সাতটি রাজনৈতিক দল। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।
ভোলায় আয়োজিত সমাবেশে জামায়াতে ইসলামী নেতারা বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই। জেলা জামায়াতের আমির মাস্টার জাকির হোসাইন, উপজেলা পর্যায়ের আমির ও প্রার্থীরা অংশ নিয়ে সরকারের নীতি-অবস্থান নিয়ে সমালোচনা করেন। দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বাস টার্মিনাল এলাকায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে জামায়াত জেলা সভাপতি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন দাবি করেন, জনগণের মত ও প্রতিনিধিত্বকে প্রতিফলিত করতে হলে জুলাই সনদই অনুসৃত হওয়া প্রয়োজন।
নওগাঁর পোরশা উপজেলায় ইসলামী আন্দোলনের স্থানীয় নেতারা সমাবেশে যোগ দিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে “গণতান্ত্রিক সংস্কার” জরুরি বলে মত প্রকাশ করেন। কোটালীপাড়ায় সকালে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ শেষে পৌর মার্কেট ব্রিজে সমাবেশে মিলিত হয়ে জেলা ও উপজেলা জামায়াতের নেতারা বক্তব্য দেন। শাহজাদপুরেও সমাবেশ শেষে বক্তারা পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচনকে জনস্বার্থবিরোধী বলে দাবি করেন।
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় কর্ণফুলী টানেল চত্বরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে দক্ষিণ জেলা জামায়াতের নেতারা অংশ নেন। তারা গণহত্যার বিচার ও ফ্যাসিবাদী দমননীতির অবসান দাবি করেন। নাটোরের বাগাতিপাড়া ও নীলফামারীর সৈয়দপুরে আয়োজনগুলোতেও একই দাবি তোলা হয়।
ঝিনাইদহ শহরে পায়রা চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে জেলা জামায়াতের নেতারা বলেন, জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা না হলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বিপন্ন হয়ে পড়বে। এ ছাড়া রাঙামাটির কাপ্তাই, নীলফামারী জেলা শহর ও পাবনার ভাঙ্গুড়াতেও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। নেতাদের ভাষণে পিআর-ভিত্তিক নির্বাচনের ওপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি বিরোধী দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার অভিযোগের সমালোচনা করা হয়।
ভোলার বোরহানউদ্দিনে বিকেলে ৫ দফা দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে স্থানীয় নেতারা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য দেন। তারা জানান, জনগণের সুষ্ঠু ভোটাধিকার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।