এই পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য হলো ইসলামিক গোষ্ঠী হামাসের ওপর চাপ বাড়িয়ে গাজা শহরের নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণ গ্রহণ করা। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বুধবার ঘোষণা করেছে যে তারা গাজার শহর দখলের জন্য পরিচালনাগত পরিকল্পনার মূল কাঠামো অনুমোদন করেছে। সেনাপ্রধান ইয়াল জামির ঊর্ধ্বতন সামরিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে পারস্পরিক আলোচনা শেষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অভিযান শুরু করার আগে সেনা প্রস্তুতি বৃদ্ধি এবং সংরক্ষিত সেনাদের নিয়োগের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, গাজা শহরের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার প্রথম ধাপ ৭ই অক্টোবরের মধ্যে সমাপ্ত হওয়ার কথা, যার পরে সামরিক দখলের তৃতীয় পর্যায় শুরু হবে। এটি মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে পারে কেননা জনসংখ্যা স্থানান্তর এবং ব্যাপক সামরিক অভিযানের ফলে মানবিক সংকট তীব্র হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা ইতিমধ্যেই বাধ্যতামূলক স্থানান্তর এবং সশস্ত্র সংঘর্ষ বৃদ্ধির কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।
গাজা অবরোধ ও সামরিক সংঘাত দীর্ঘদিনের একটি জটিল সমস্যা, যার মাঝে এই নতুন অভিযান আরো বড় ধরনের উত্তেজনা এবং অঞ্চলটির নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সহনশীলতা ও শান্তিপ্রচেষ্টার প্রতি গুরুত্বারোপ করছে, যেন সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ সীমিত করা যায়।