রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) পরিচালনা পর্ষদের ১৪৮তম সভায় আগামী অর্থবছরের মেলা ক্যালেন্ডার অনুমোদনসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সভায় মূলত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় কার্যকর অংশগ্রহণ, বৈশ্বিক বাজার সম্প্রসারণ এবং নতুন সোর্সিং মেলা আয়োজন নিয়ে আলোচনা হয়। একইসঙ্গে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার নাম পরিবর্তন করে ঢাকা বাণিজ্য মেলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ইপিবির সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) আব্দুর রহিম খান, বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান এবং মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কামরান তানভীর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, ইপিবির ব্যবস্থাপনায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের পূর্ণাঙ্গ ও ২০২৬-২৭ অর্থবছরের আংশিক মেলা ক্যালেন্ডার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈশ্বিক বাজারে রপ্তানিমুখী শিল্পকে এগিয়ে নিতে সরকার যে বাজার বহুমুখীকরণ কৌশল নিয়েছে, তার অংশ হিসেবে নভেম্বর মাসে ‘সোর্সিং বাংলাদেশ ২০২৫’ মেলা আয়োজনের অনুমোদনও দেওয়া হয়।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, শুধু অংশগ্রহণের জন্য মেলায় উপস্থিত থাকা নয়, বরং কোথায় আমাদের পণ্যের বাজার বিস্তৃত হতে পারে তা বিশ্লেষণ করে কার্যকরভাবে অংশ নেওয়া প্রয়োজন। একইভাবে বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান জানান, সোর্সিং মেলা আয়োজন না করলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশীয় পণ্যের পরিচিতি এবং সক্ষমতা গড়ে উঠবে না। এজন্য বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে প্রচারণা জোরদার করার ওপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার নাম পরিবর্তন করে ঢাকা বাণিজ্য মেলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর কারণ হিসেবে জানানো হয়, বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো সরাসরি অংশ না নিয়ে স্থানীয় এজেন্টের মাধ্যমে অংশ নিচ্ছে, ফলে অনেক সময় মানহীন বা স্থানীয় পণ্য বিদেশি ব্র্যান্ডের নামে প্রদর্শিত হচ্ছে। এতে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে নাম পরিবর্তনের পাশাপাশি মেলার গুণগত মান ও কার্যকারিতা বাড়ানোর দিকেও গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।