মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজার সংকট এবং শান্তি পরিকল্পনার বিষয়ে হামাসকে রোববার সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে বলেছেন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সময় ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান যুদ্ধ ও মানবিক সংকট নিয়ে মুসলিম বিশ্বের আট দেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। পরে ২৯ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউসে ইস্রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে একাধিক বৈঠকের পর ট্রাম্প ২০ দফার একটি শান্তি প্রস্তাব প্রকাশ করেন, যা গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি আনার লক্ষ্যে তৈরি।
এই প্রস্তাব অনুযায়ী, হামাস যদি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়, তাহলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইস্রায়েলি জীবন ও মৃত সব বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে এবং হামাসকে গাজার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিতে হবে। এর পর একটি আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে ‘দ্য বোর্ড অব পিস’ নামের অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হবে। ট্রাম্প উল্লেখ করেন, ইস্রায়েল ও আরব নেতারা এই পরিকল্পনাটি ইতোমধ্যে মেনে নিয়েছেন এবং এখন শুধু হামাসের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।
ট্রাম্প শুক্রবার (৩ অক্টোবর) আবারও হামাসকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে, এই শান্তি পরিকল্পনায় সম্মতি না দিলে হামাসের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি হুমকি দিয়ে বলেছেন, হামাসের সদস্যরা এখন সামরিকভাবে ঘেরাও এবং তৎক্ষণাৎ তাদের জীবন শেষ করে দেওয়া হবে। সংকটের মধ্য দিয়ে পড়া নিরীহ ফিলিস্তিনি জনগণকে তিনি গাজার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন এবং ত্রাণ কার্যক্রমে সমর্থন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
অন্যদিকে, হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য মোহাম্মদ নাজ্জাল আল জানিয়েছেন যে তাদের শিগগিরই মার্কিন সরকারের প্রস্তাবে মতামত জানানো হবে, তবে তারা ফিলিস্তিনি জনগণের স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে সময়বদ্ধ সিদ্ধান্ত নেবেন না।