গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও পাশের পীরগাছা উপজেলায় গরু থেকে মানুষের শরীরে অ্যানথ্রাক্স রোগ শনাক্ত হওয়ায় স্থানীয়ভাবে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে সতর্কবার্তা দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাতে গাইবান্ধা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক আইডি থেকে এ সতর্কবার্তা প্রকাশ করা হয়।
বার্তায় জানানো হয়, আক্রান্ত বা মৃত গবাদি পশুর (গরু, ছাগল, ভেড়া) মাংস, রক্ত, চামড়া বা লোমের সংস্পর্শে এ রোগ ছড়াতে পারে। কাঁচা বা অপর্যাপ্তভাবে রান্না করা মাংস খাওয়া কিংবা পশুর শরীর কাটাছেঁড়ার সময় ক্ষতস্থানে জীবাণু প্রবেশ করলেও সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।
মানুষের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের লক্ষণ
-
ত্বকে কালো দাগ বা ঘা (Cutaneous anthrax)
-
জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট (Inhalation anthrax)
-
তীব্র পেটব্যথা, বমি ও রক্তাক্ত ডায়রিয়া (Gastro-intestinal anthrax)
করণীয়
-
মৃত বা অসুস্থ পশু জবাই বা ভক্ষণ থেকে বিরত থাকা
-
মাংস ভালোভাবে সিদ্ধ করে খাওয়া
-
পশু জবাইয়ের সময় গ্লাভস ও সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার
-
হঠাৎ মারা যাওয়া পশুকে খোলা জায়গায় না ফেলে মাটিচাপা দেওয়া
-
শরীরে সন্দেহজনক কালো দাগ বা উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়া
গাইবান্ধা সিভিল সার্জন ডা. মো. রফিকুজ্জামান বলেন,
“অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধযোগ্য ও চিকিৎসাযোগ্য রোগ। সচেতনতা এবং সঠিক পদক্ষেপই পারে আমাদের সুরক্ষিত রাখতে।”