মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম ‘ঠিকানা’-এর একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ২০১৮ সাল থেকে তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছেন, তাই নির্বাচনকালীন সময়ে সরকার থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। তবে আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া কিংবা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-তে যোগদানের বিষয়ে কোনো স্পষ্ট মন্তব্য করেননি।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ৫ আগস্টের পর বা গণ-অভ্যুত্থানের আগে সেনাবাহিনীর ভূমিকা স্বীকারযোগ্য হলেও, আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে সেনাপ্রধানের সঙ্গে তার মতবিরোধ রয়েছে। সেনাবাহিনী বা সরকারের সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনো বিরোধ নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও দাবি করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময় নানা রাজনৈতিক শক্তি সক্রিয় রয়েছে। একটি মহল জাতীয় পার্টিকে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে সামনে আনার চেষ্টা করছে এবং আওয়ামী লীগের কিছু গ্রহণযোগ্য ইমেজসম্পন্ন নেতাকে জাপার হয়ে নির্বাচনে আনার প্রচেষ্টা চলছে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের ভেতরে একাধিক ক্ষমতার কেন্দ্র থাকার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। তার মতে, ৫ আগস্টের পর সামরিক বাহিনী একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতাকেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক পক্ষ এবং ভিন্ন ভিন্ন পটভূমি থেকে আসা উপদেষ্টারা ক্ষমতার কাঠামোকে বহুমুখী করে তুলেছেন।