গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ক্ষমতাসীনরা নিজেদের পতনের আশঙ্কায় দেশকে সংকটে ঠেলে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনোভাবেই এই ষড়যন্ত্র সফল করা যাবে না। বিদেশি অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়েও তারা লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে না বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার নবম সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাকি বলেন, ইতোমধ্যে একটি সংগ্রামে জনগণের বিজয় হয়েছে, তবে সামনে আরও বড় একটি বিজয় অর্জন জরুরি। এজন্য রাষ্ট্রে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা, রাজনৈতিক সংস্কার এবং সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিত্তি গড়ে তোলার প্রয়োজন। তাঁর ভাষ্যমতে, বর্তমান সরকারকে ফ্যাসিস্ট আখ্যা দেওয়া হয়েছিল, আর সেই পূর্বাভাসই আজ বাস্তবে প্রতিফলিত হচ্ছে। তিনি মনে করেন, দেশে নতুন রাজনৈতিক রূপান্তরের বিকল্প নেই, এবং ন্যায়বিচার, সংস্কার ও সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা অসম্ভব।
তিনি বলেন, জুলাই মাসের সনদ জনগণের রক্ত দিয়ে লেখা হয়েছে এবং সেটিই বৈধ রাজনৈতিক চুক্তি হিসেবে কার্যকর করতে হবে। ভবিষ্যতের প্রতিনিধিদের এ সনদ রূপায়ণকে আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক করতে হবে।
একই সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দুর্নীতির সমালোচনা করে সাকি অভিযোগ করেন, বিএনপি, জামায়াত কিংবা অন্যান্য দল কেউই স্বচ্ছ নয়। তাঁর দাবি, কেউ কেউ চাঁদাবাজিতে জড়িত, আবার কেউ বড় প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ ভাগাভাগি করছে। এমনকি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অনেক নেতার বিরুদ্ধেও অনিয়মের অভিযোগ আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।