শুক্রবার (১১ জুলাই) যশোর শহরের হোটেল ওরিয়নে জুলাই আন্দোলনের আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে তৃণমূলের কর্মীরা নির্যাতিত হলেও নেতারা বিলাসী জীবনযাপন করেন এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে ব্যবসা করেন। নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তৃণমূলের কর্মীদের রক্ত ও ত্যাগের সঙ্গে বেঈমানি করা চলবে না।
তিনি আরও বলেন, কমিশনের কার্যক্রমে সন্দেহজনকতা আছে, জুলাই যোদ্ধারা এর বিরুদ্ধে সোচ্চার। নির্বাচন পেছানোর বিরুদ্ধে অবস্থান জানিয়ে বলেন, নির্বাচন চাই, তবে তা হবে জুলাই সনদ, বিচার ও সংস্কারের প্যাকেজ আকারে....
স্বাধীন বাংলাদেশপন্থী নির্বাচন কমিশন, সরকার ও গণমাধ্যমের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ব্যক্তি পূজার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ৩ আগস্ট 'জুলাই সনদ' দাবির আন্দোলনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যিনি বলেন, জুলাই সনদ দ্রুত ঘোষণা করে তা সংবিধানে যুক্ত করতে হবে, না হলে আওয়ামী লীগ থেকেই যাবে।
সভায় যশোরের শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত জুলাই যোদ্ধারা অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন এনসিপির নেতৃবৃন্দ, তাসনিম জারা ও নুসরাত তাবাসসুম।