ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫ , ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
৩৩ বছর পর মুক্তি পেলেন হামাসের কিংবদন্তি কমান্ডার মাহমুদ ইসা কনেসেটে ট্রাম্পের বক্তব্যে বাধা দিলেন এমপি আয়মান ওদেহ ইন্তেকাল করেছেন মুসলিম ওয়ার্ল্ড লীগের সাবেক মহাসচিব আব্দুল্লাহ ওমর নাসিফ ইসরায়েলি কারাগার থেকে ফিরছেন ফিলিস্তিনি বন্দীরা ভয়াবহ মানসিক আঘাত নিয়ে ইরানের ঘোষণা: আইএইএ-র সঙ্গে সহযোগিতা চুক্তি স্থগিত রাশিয়ার জ্বালানি স্থাপনায় ইউক্রেনের হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের গোপন গোয়েন্দা সহায়তা উত্তর-পশ্চিম গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ পরিদর্শনে সিটি মেয়র যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি অচলাবস্থায় ৪ হাজারের বেশি কর্মী ছাঁটাই বেলজিয়ান F-16 ইউক্রেনে পাঠাচ্ছে, আকাশ প্রতিরক্ষা শক্তিশালী হবে দেইর ইজ-জোরের তেলক্ষেত্র সিরিয়ার হাতে ফিরছে, SDF স্থানীয় বাজারে অংশ রাখবে ভেনিজুয়েলার উপকূলে যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ বছরের সর্ববৃহৎ সামরিক উপস্থিতি মাউন্টেন হোমে কাতারের ১০ বছরের বিমান ঘাঁটি স্থাপন তুরস্ক–সিরিয়া নিরাপত্তা বৈঠক আঙ্কারায় আড়ালে ইসরায়েলের সঙ্গে মিলিত আরব দেশগুলো, গোপনে হামাস-বিরোধী মহড়া মিশরে দুর্ঘটনায় কাতারের চার কূটনীতিক নিহত হুথিরা লোহিত সাগরে হামলা স্থগিত করেছে—গাজার যুদ্ধবিরতির প্রতি সংহতি মিশরে সড়ক দুর্ঘটনায় কাতারি কর্মকর্তাদের মৃত্যু, কূটনীতিক নন ট্রাম্পের ১০০% চীনা শুল্কের ঘোষণা, বৈশ্বিক ক্রিপ্টো ও স্টক মার্কেটে ধস উত্তর কোরিয়ার সর্বাধুনিক Hwasong-20 পারমাণবিক ICBM উন্মোচন আলজেরিয়ার ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রতিরক্ষা বাজেট: ২৫ বিলিয়ন ডলার

প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকবে নতুন ছয় ধানের জাত, খাদ্য উৎপাদনে বড় পরিবর্তনের আশা

  • আপলোড সময় : ২৭-০৮-২০২৫ ০৬:২১:৪০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৭-০৮-২০২৫ ০৬:২১:৪০ অপরাহ্ন
প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকবে নতুন ছয় ধানের জাত, খাদ্য উৎপাদনে বড় পরিবর্তনের আশা ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) প্রতিকূল পরিবেশে চাষযোগ্য নতুন ছয়টি ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে। কৃষি বিজ্ঞানীদের প্রত্যাশা, এসব জাত দেশের খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার করবে এবং পতিত জমি আবাদে এনে উৎপাদন বাড়াবে। নতুন জাতগুলো হলো— জোয়ার-ভাটা সহনশীল বারি ধান-১০৯, বন্যা সহনশীল বারি ধান-১১০, নিচু জমিতে চাষযোগ্য জলি আমন জাত-১১১, লবণাক্ততা সহনশীল বারি ধান-১১২, উচ্চ ফলনশীল বোরো জাত-১১৩ এবং ব্লাস্ট প্রতিরোধী বারি ধান-১১৪।
 
জাতীয় বীজ বোর্ড সম্প্রতি এ জাতগুলোর অনুমোদন দিয়েছে। গবেষণা ও মাঠপর্যায়ের পরীক্ষায় দেখা গেছে, নতুন ধানগুলো আগের জাতের তুলনায় বেশি ফলনশীল এবং দীর্ঘ সময় বন্যা ও লবণাক্ততা সহ্য করতে সক্ষম। উদাহরণস্বরূপ, জোয়ার-ভাটা অঞ্চলে বারি ধান-১০৯ প্রতি হেক্টরে গড়ে ৫.৪০ টন ফলন দিয়েছে, যা প্রচলিত জাতের তুলনায় প্রায় এক টন বেশি। অন্যদিকে বন্যা সহনশীল বারি ধান-১১০ আকস্মিক প্লাবনের মধ্যেও টিকে থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি ফলন দিয়েছে।
 
বর্তমানে দেশের প্রায় ০.৪৭ মিলিয়ন হেক্টর পতিত জমির ১৮–২০ শতাংশে প্রতিকূল পরিবেশ সহনশীল ধান আবাদ হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, নতুন ছয়টি জাত চাষ শুরু হলে আরও ২০–২৫ শতাংশ পতিত জমি উৎপাদনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
 
বারির মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান জানিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বিবেচনায় এনে এসব জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। খরা, লবণাক্ততা ও হঠাৎ বন্যার মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই ধানগুলো বড় ভূমিকা রাখবে। বারির তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত মোট ১২১টি ধানের জাত উদ্ভাবিত হয়েছে, যার মধ্যে আটটি উচ্চ ফলনশীল বা হাইব্রিড।
 
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাইফুল আলম মনে করেন, নতুন জাতগুলো পতিত জমি কাজে লাগিয়ে দেশের খাদ্য উৎপাদনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ের কৃষকেরাও এসব ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : স্টাফ রিপোর্টার, ডেস্ক-০১

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
ঢাকা সেনানিবাসের ভবন সাময়িক কারাগার ঘোষণা

ঢাকা সেনানিবাসের ভবন সাময়িক কারাগার ঘোষণা