এদিকে, ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি আলী বাহরাইনি জেনেভায় এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের নিন্দা জানান। তিনি বলেন, ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে মার্কিন যুদ্ধ নৌবহর ও পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েন আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল এবং ভেনেজুয়েলার রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার জন্য সরাসরি হুমকি।
শুধু ইরানই নয়, প্রতিবেশী কলম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীও মার্কিন সামরিক উপস্থিতিকে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের সব দেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন। তার মতে, ওয়াশিংটনের একতরফা নীতি পুরো লাতিন আমেরিকায় অস্থিতিশীলতা বাড়িয়ে তুলছে।
এদিকে, কারাকাসে জাতিসংঘ কার্যালয়ের সামনে হাজারো ভেনেজুয়েলিয়ান নাগরিক বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়ে মার্কিন ষড়যন্ত্র ও হুমকি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। তারা স্লোগান দেন—“আমরা যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তি চাই।” বিশ্লেষকরা বলছেন, একদিকে রাশিয়ার সঙ্গে গভীরতর কৌশলগত জোট এবং অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাড়তে থাকা উত্তেজনা ভেনেজুয়েলাকে নতুন এক ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতার কেন্দ্রে দাঁড় করিয়েছে।